Photo: Bangladesh Prime minister |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে ব্লু-ইকোনমিকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ খোলা সহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ রবিবার সকালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১ তম ব্যাচ ক্যাডেটদের 'মুজিববর্ষ' পাসিং আউট প্যারেডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্রগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ভারচুয়ালি যুক্ত হয় তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন জাতিসংঘ ঘোষিত এহডিজি বাস্তবায়নে সফলভাবে কাজ করতেছে তার সরকার। এসডিজির ১৭ গোল নিয়ে আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে দেশ। টেকসই উন্নয়নের জন্য এসডিজি-১৪ তে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এই লক্ষ্যে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে আমাদের সমুদ্র সম্পদের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে 'ব্লু-ইকোনমি' নীতিমালা ঘোষণা দিয়েছি। এবং এই সম্পদ ব্যবহার করে যেন আমরা দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে পারি, শক্তিশালী করতে পারি, মুজুদ করতে পারি তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ নিচ্ছি।
আমাদের বঙ্গোপসাগর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশাল সমুদ্র সম্পদকে ফেলে রাখলে হবে না । পরিবেশ ও ভারসাম্য ঠিক রেখে সব সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। মৎস্য সম্পদ ও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বাড়াতে হবে। আরো অর্থনীতিকে আরো চাঙ্গা করতে চাইলে সুনীল অর্থনীতি কে কাজে লাগানোর বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোষ্টগার্ড ওসাগরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাদেরকে সাগরের ভারসাম্য রক্ষায় জ্ঞান থাকতে হবে। তাহলে মাছের বংশ বিস্তার ঘটবে। মাছে ভাতে বাঙালি প্রবাদটি বাস্তবে পরিণত হবে। তখন আমাদের পুষ্টির যোগান হবে। বিদেশে রপ্তানি ও বাড়বে। ইতিমধ্যে আমরা তাতে অনেক সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। কিন্তু সমুদ্র সম্পদ আহরণে আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। তা আমাদের দ্রুত করতে হবে।
তিনি পাসিং আউট ক্যাডেটদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, আমি চাইবো, তোমরা সবসময় সাহসের সাথে কাজ করবে এবং লব্ধ জ্ঞান এক্ষেত্রে আরো বেশি সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ ইয়ামিন চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির কার্যক্রমের উপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।